স্কাজিলা ম্যাগনিফিসেন্ট পাখি- হাজার বছর আগের হারিয়ে যাওয়া দুর্ধর্ষ ডায়নাসর পাখির রাজ্য হতে

আশপাশের ক্ষুদ্রকায় সব প্রাণীকে ৪ ফুটের মত লম্বা এক পাখি গপাগপ গিলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। সমগ্র প্রাণীরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ত্রাস। অন্য প্রজাতির পাখিরাও চারদিকে ছুটে পালাচ্ছে। পরিস্থিতিটা একবার ভেবে দেখুন।  বলতেই পারেন , এ তো রীতিমতো সন্ত্রাসী পাখি! এই প্রানির নাম স্কাজিলা ম্যাগনিফিসেন্ট।
তবে আশার কথা হল,  বিশাল আকারের এ প্রাণীটি আজ থেকে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে  সম্প্রতি।  বিবিসি অনলাইন দিয়েছে এ খবর। এ পাখিটির ফসিল বা জীবাশ্ম আর্জেন্টিনার লা এস্তাফেতা সৈকতের কাছের পাহাড়ে পাওয়া গেছে। যার উচ্চতা ছিল ১ দশমিক ২ মিটার (৩ দশমিক ৯৩ ফুট)। এবং ওজন ১৮ কিলোগ্রাম।
সাড়ে ৬শ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অতিকায় ডাইনোসরের পর এরাই প্রাণীজগতে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ছিল বলে জানিয়েছেন জীবাশ্মবিদরা। সবার পরিচিত উটপাখি বা ইমুসহ এ পর্যন্ত পাওয়া অতিকায় ও শিকারি পাখিদের চেয়ে এ প্রজাতির পাখি ছিল কয়েক গুণ বেশি বড়।
এই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখিটির ফসিল আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি প্রথম প্রকাশ করা হয় জীবাশ্ম গবেষণাবিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অব ভার্টিব্রাটা প্যালিওনটোলজিতে । এটির সহকারী গবেষক ফার্নান্ডো স্কাজিলার নামেই পাখিটির নামকরণ করা হয়।

ভদ্রলোক স্কাজিলা বলেন, এ প্রাণীটি এত বড় ছিল যে, এক গ্রাসেই মোটামুটি বেশ বড় আকারের শিকারও গিলে ফেলত। তবে মজার ব্যাপার হলো এদের কান ছিল খুব ছোট। কিন্তু অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গের শব্দও এরা শুনতে পেত। তাছাড়া মুখ দিয়ে পাখিগুলো বিকট শব্দ করতে পারত।
Previous
Next Post »