১৪ এপ্রিল বাঙ্গালির প্রানের উৎসব নববর্ষ। হাজার বছর ধরে বাঙ্গালির প্রানের উৎসব। হাজার বছর ধরে বাঙ্গালির প্রানে বর্ষ বরনের আমেজ কোন ভাবে আজ পর্যন্ত একটু খানি কমে নাই। সেই মাটির হাড়ি, পান্তা-ইলিশ, দোল যাত্রা, আর মেলা আজো বাঙ্গালী প্রানে অমলিন হয়ে আছে। তবে সময়ের স্রতে তার কিছু টা পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের কিছুটা কারোরই কাম্য নয়।
কাল আমরা হয়তো সবাই মেলাতে যাব। পান্তা ইলিশ খাবো। বান্ধবিকে নিয়ে হাজার টাকা খরচ করবো। অনেকে রঙ্গিন পানির বোতলের মুখ খুলবো। কেও কেও হয়তো আগে থেকে হোটেল অথবা ফ্লাট ভাড়া করে রেখেছেন তথাকথিত "গার্ল ফ্রেন্ড" কে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের প্রশ্ন আমাদের বাঙ্গালিওানাতে কি এই সব রিতি নিতি লিখা আছে ভাই?? এসব কি বাঙ্গালিওানা, নাকি নোংরামি??
আমার তো মনে হয় এসব যদি চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ বর্ষবরনের নামটা খুব ঘৃণার সাথে উচ্চারন করবে। সাথে সাথে হারিয়ে যাবে আমাদের বাঙ্গালিওানা, আর হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমার কথা যদি ভালো লাগে, তাহলে ভাই আমার কিছু কথা রাখবেন বলে আশা করি।
- নববর্ষের দিন দয়া করে লাল-নীল পানির বোতল গুলো থেকে দূরে থাকুন। পারলে ওই পানীয় কিনার টাকা দিয়ে কিছু মানুষকে সাহায্য করুন। অথবা আমাদের দেশীয় এতিমখানা গুলোর দিকে নজর দিতে পারেন।
- হোটেলে প্রেমিকাকে না নিয়ে মেলাতে নিয়ে জান। অথবা পুতুল নাচ, নাগরদোলা টাইপের কিছু অভিজ্ঞতা তে নিজদের বেস্ত রাখুন। এক সাথে এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হলে নিজেদের মধ্যের বোঝা-পড়াটা ভালো হবে।
- পান্তা-ইলিশ খাবেন। এক দিক হতে আপানদের সারা বছর এই রকম কিছু খাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না। তাই বলি কি, যাদের সারা বছর পান্তা ভাত খাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে মানে যারা দিন আনে দিন খায় গরিব মানুষ, তাদেরকে না হয় আপনার সাথে খেতে বসাবেন। তাহলে আনন্দ বেড়ে যাবে। অবশ্য এটা আপনার বেক্তি গত বেপার।
- আর, আজ কাল ভীষণ গরম পরতে শুরু করেছে। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সাথে পানি, ছাতা, সানগ্লাস, টিস্যু রাখবেন।
- মেলা তে চুরি হওয়ার নমুনা কম না। আবার মানুষের চাপাচাপিতে অনেকে অনেক মুল্লবান জিনিষ ও হারিয়ে ফেলেন মেলাতে। সাবধানে থাকবেন জেনো মেলা শেষে বাসায় আশার পর আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল অথবা ক্যামেরার জন্য আফসোস না করতে হয়।
ভাই নববর্ষ আমার ও আপনার সবারই প্রানের উৎসব। আমারা চাইলেই এখানে সব ধরনের অস্থিরটা কাটিয়ে আমারা আবার এক সাথে আনন্দে মেতে উথতে পারি। ভালো থাকবেন। লিখা ভালো লাগলে সচেতনতার জন্য শেয়ার করবেন বন্ধু বান্ধবের কাছে। সবার নববর্ষ ভালো কাটুক।
Writter - Musicboy Hridoy
কাল আমরা হয়তো সবাই মেলাতে যাব। পান্তা ইলিশ খাবো। বান্ধবিকে নিয়ে হাজার টাকা খরচ করবো। অনেকে রঙ্গিন পানির বোতলের মুখ খুলবো। কেও কেও হয়তো আগে থেকে হোটেল অথবা ফ্লাট ভাড়া করে রেখেছেন তথাকথিত "গার্ল ফ্রেন্ড" কে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের প্রশ্ন আমাদের বাঙ্গালিওানাতে কি এই সব রিতি নিতি লিখা আছে ভাই?? এসব কি বাঙ্গালিওানা, নাকি নোংরামি??
আমার তো মনে হয় এসব যদি চলতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে মানুষ বর্ষবরনের নামটা খুব ঘৃণার সাথে উচ্চারন করবে। সাথে সাথে হারিয়ে যাবে আমাদের বাঙ্গালিওানা, আর হাজার বছরের ঐতিহ্য। আমার কথা যদি ভালো লাগে, তাহলে ভাই আমার কিছু কথা রাখবেন বলে আশা করি।

- নববর্ষের দিন দয়া করে লাল-নীল পানির বোতল গুলো থেকে দূরে থাকুন। পারলে ওই পানীয় কিনার টাকা দিয়ে কিছু মানুষকে সাহায্য করুন। অথবা আমাদের দেশীয় এতিমখানা গুলোর দিকে নজর দিতে পারেন।
- হোটেলে প্রেমিকাকে না নিয়ে মেলাতে নিয়ে জান। অথবা পুতুল নাচ, নাগরদোলা টাইপের কিছু অভিজ্ঞতা তে নিজদের বেস্ত রাখুন। এক সাথে এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হলে নিজেদের মধ্যের বোঝা-পড়াটা ভালো হবে।
- পান্তা-ইলিশ খাবেন। এক দিক হতে আপানদের সারা বছর এই রকম কিছু খাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না। তাই বলি কি, যাদের সারা বছর পান্তা ভাত খাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে মানে যারা দিন আনে দিন খায় গরিব মানুষ, তাদেরকে না হয় আপনার সাথে খেতে বসাবেন। তাহলে আনন্দ বেড়ে যাবে। অবশ্য এটা আপনার বেক্তি গত বেপার।
- আর, আজ কাল ভীষণ গরম পরতে শুরু করেছে। নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সাথে পানি, ছাতা, সানগ্লাস, টিস্যু রাখবেন।
- মেলা তে চুরি হওয়ার নমুনা কম না। আবার মানুষের চাপাচাপিতে অনেকে অনেক মুল্লবান জিনিষ ও হারিয়ে ফেলেন মেলাতে। সাবধানে থাকবেন জেনো মেলা শেষে বাসায় আশার পর আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল অথবা ক্যামেরার জন্য আফসোস না করতে হয়।
ভাই নববর্ষ আমার ও আপনার সবারই প্রানের উৎসব। আমারা চাইলেই এখানে সব ধরনের অস্থিরটা কাটিয়ে আমারা আবার এক সাথে আনন্দে মেতে উথতে পারি। ভালো থাকবেন। লিখা ভালো লাগলে সচেতনতার জন্য শেয়ার করবেন বন্ধু বান্ধবের কাছে। সবার নববর্ষ ভালো কাটুক।
Writter - Musicboy Hridoy
ConversionConversion EmoticonEmoticon