এইচএসসিতে আলাদা ভাবে পাশের বিধান পরিবর্তন হতে পারে

গত ২০১৩ ঢাকা সিটি কলেজের তাসনীম রাইসা নামের এক শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষাতে অংশ গ্রহন করেন। তিনি বাংলা, জীব বিজ্ঞান, গণিতে এ প্লাস এবং ইংরেজি ও পদার্থ বিজ্ঞানে এ গ্রেড এবং রসায়নের ব্যাবহারিক পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে না পারাতে এফ গ্রেড পান। ঐ বছর ৩ অগাস্ট তার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

বরারবই আমাদের দেশের চলমান নিয়ম অনুযায়ী উচ্চ-মাধ্যমিক/ এইচএসসি পরীক্ষায় তিনটি বিষয়ে নৈর্ব্যত্তিক, সৃজনশীল ও ব্যবহারিক অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হত। তবে তাসনীম রাইসার গত বছর করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এবছর ২৯ জানুয়ারি আদালত হতে ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি বুধবার প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত রায়ে এইচএসসির পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের নৈর্ব্যত্তিক, সৃজনশীল ও ব্যবহারিকে আলাদাভাবে পাসের বিধানকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ড থেকে তাদের নিয়ম পরিবর্তনের কোন সিদ্ধান্ত এখনো জানানো হয় নি।

বিডিনিউজ২৪ ডটকমের তাদের প্রতিবেদনে জানায় যে উক্ত রায়ে বলা আছে,  “এখানে দেখা যায়, রিটকারী রসায়নের অন্য পার্টগুলোতে উত্তীর্ণ হলেও ব্যবহারিকে প্রয়োজনীয় নম্বর অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। আমাদের মত হচ্ছে, নৈর্ব্যত্তিক, সৃজনশীল ও ব্যবহারিকে পাস করার বিধানকে আইন সমর্থন করে না। এ কারণে তাকে পাস বলে বিবেচনা করা উচিত।”

এছাড়া আর বলা হয়  পুনঃগণনার পরিবর্তে “পুনঃনিরীক্ষা” করা যাবে না বলে যে বিধানের কথা বলা হচ্ছে সেটার গেজেট করা হয়নি। অথচ এ ধরনের বিধান করতে হলে গেজেট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’ অর্থাৎ এবছর থেকে পুনঃগণনার প্রথাকে পুনঃনিরীক্ষা রুপে দেখা যেতে পারে। এতে করে প্রথম ধাপে খাতা নিরীক্ষণের ভুল ত্রুতি সমূহ পুনঃনিরীক্ষন কালে সংশোধন করে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত ফলাফল দিতে পারবে বলে আশা করা যায়।

Previous
Next Post »